ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নের রহিমানপুর, আকচা নিমবাড়ি, মাদারগঞ্জ ও হরিহরপুর হাজীপাড়া গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা সুখ নদীতে অবস্থিত ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো। ঝড়-বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায়ও পোহাতে হয় দুর্ভোগ। সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এসব মানুষের। বছরের পর বছর একটি ব্রিজের অপেক্ষায় হাজারো মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোট এলেই নেতাদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। ভোট শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না। বছরের পর বছর শুধু একটিই আশ্বাস ব্রিজ হবে। কিন্তু কবে হবে তা কেউই জানেন না। একটি ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন। হঠাৎ সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। বর্ষাকাল এলেই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে তেমন যেতে পারছে না। এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে বলে জানান ভুক্তোভুগীরা।
বেলাল হোসেন, মনোয়ার বেগম, স্কুলছাত্র নাদিম, কলেজছাত্রী খুকুমনি সহ কয়েকজন বলেন, এ গ্রামে যারা বসবাস করেন সবাই দিনমজুর। একদিন বাড়ি থেকে বের না হলে না খেয়ে থাকতে হয় সবাইকে। প্রতি বছর চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করি আমরা। এবার পুরোপুরি ভেঙে গেছে। আমরা বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাই। পার হওয়ার সময় খুব ভয় লাগে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুল যেতে পারছি না। মেম্বার, চেয়ারম্যানরা ব্রিজের আশ্বাস দিলেও কেউ ব্রিজটি করে দিচ্ছেন না। আমরা চাই একটি ব্রিজ।
এ ব্যাপারে রহিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, ব্রিজের জন্য কয়েক দফায় আবেদন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক কবে এ সমস্যার সমাধান হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।